প্রকাশিত: ০৬/০২/২০১৭ ৮:৫৫ এএম

ইউসুফ সোহেল:;
ক্ষমতাসীন দলের মুষ্টিমেয় ব্যক্তির আগ্রাসী ভূমিকা, পুলিশের বেপরোয়া আচরণ আর অহেতুক হামলা-মামলায় ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে সাংবাদিকতা। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রায়ই হামলার শিকার হচ্ছেন সংবাদকর্মীরা। সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পড়ে আবার পরিস্থিতির শিকার হয়ে কখনো কখনো অকাতরে প্রাণ দিতে হচ্ছে তাদের। সর্বশেষ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গত ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হন দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মারা যান তিনি। পুলিশের দাবি, সাংবাদিক শিমুলের মৃত্যু হয়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরুর গুলিতে।

এই ঘটনার কয়েকদিন আগে ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন এটিএন নিউজের প্রতিবেদক কাজী এহসান বিন দিদার ও ক্যামেরাপারসন আবদুল আলিম। এ ঘটনার রেশ না যেতেই গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একই থানা পুলিশের হামলার শিকার হন চিত্রসাংবাদিক জীবন আহমেদ। এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর চকবাজারের দেবীদাস লেনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন যমুনা টিভির রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ক্যামেরাপারসন শাহীন আলম। প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে। আক্রান্ত সাংবাদিকরা কখনো পঙ্গু হচ্ছেন আবার কখনো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। এই কাতারে বাংলাদেশেই গত দুই দশকে যোগ হয়েছে ৩৮ সংবাদকর্মীর নাম। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ সহস্রাধিক। এসব ঘটনার হাতেগোনা দুই-একটির সুরাহা হলেও বাকিগুলো রয়ে গেছে অন্ধকারে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশের অধিকাংশ সাংবাদিক নেতার অভিমত, বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছেন সংবাদকর্মীরা। অভিন্ন মত পোষণ করেছেন অপরাধ বিশ্লেষক এমনকি মানবাধিকার কর্মীরাও। তাদের মতে, বর্তমানে গণমাধ্যমকর্মীরা আক্রমণের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতকরণসহ আপামর জনসাধারণকে সচেতন ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী ২০১৬ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রভাবশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, সন্ত্রাসী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দ্বারা শারীরিক নির্যাতন, হামলা, মামলা, হুমকি ও হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১৭ সাংবাদিক। তাদের মধ্যে একাধিক জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিকও রয়েছেন। তবে কোনো হত্যাকা-ের কথা বলা হয়নি আসকের ওই প্রতিবেদনে।

সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের (সিপিজে) ২০১৬ সালে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে, বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যায় দায়মুক্তি বা বিচার এড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়। সিপিজের ওই প্রতিবেদনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার বিচার এড়ানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগের বছর বাংলাদেশ ছিল ১২তম স্থানে। সিপিজের বিবেচনায় অবস্থার অবনতি ঘটেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে অন্তত সাত সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় দায়মুক্তির কথা বলা হয়।

সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও শিমুল হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিপিজে এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। গত শুক্র ও শনিবার পৃথক বিবৃতিতে আইএফজের মহাসচিব অ্যান্থনি বেলাঙ্গার বলেন, এ হত্যার মাধ্যমে আবার আমাদের মনে করিয়ে দেওয়া হলো, বিশ্বব্যাপী মানুষকে সত্য জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হচ্ছে। সিপিজের এশিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ক স্টিভেন বাটলার বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুততার সঙ্গে বিচারের আওতায় না আনার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না।

সাংবাদিক শিমুল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক আমাদের সময়কে বলেন, বরাবরই সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। তবে সমসাময়িক ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সংবাদকর্মীদের প্রতি ঝুঁকির পরিমাণ বেড়েছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত ও অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে এমনটি হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ ঠেকানো যাবে না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় পেশাগত কারণেই সংবাদ সংগ্রহে ছুটতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। অনেক সময় তারা টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। এছাড়া তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করার কারণে যে বা যাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তারাও ওই সাংবাদিককে প্রতিপক্ষ ভাবতে থাকেন। এতে হুমকিও সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতির শিকার হয়ে আহত কিংবা নিহত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। এ প্রবণতা দিন-দিন বাড়ছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে সাংবাদিকতা, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রই। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সাংবাদিক, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে আপামর জনসাধারণের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সব সাংবাদিকের হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করাসহ দ্রুত বিচারের দাবিও জানান এই সাংবাদিক নেতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান আমাদের সময়কে বলেন, সাংবাদিকের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু না। এটা এক ধরনের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। যা আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ঘটনার আলোকে বলা যাবে না বাংলাদেশের সাংবাদিকরা প্রচ- ঝুঁকিতে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে আরও সোচ্চার ও সংযত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

গত শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় দেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। গুলিতে সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনা আগে কখনো শুনিনি।

সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা-মামলা, নির্যাতন ও সমকাল প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা। বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক এবং ডিইউজে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকরা হত্যাকা-ের শিকার হচ্ছেন। তুচ্ছ কারণে সাংবাদিকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে পুলিশ। ফলে সরকারের সঙ্গে সাংবাদিকদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। সভ্য সমাজে যা কাম্য হতে পারে না। অবিলম্বে সাংবাদিকের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা। পাশাপাশি সব সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান নেতারা।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ইনস্টিটিউশন অব কমিউনিকেশন স্টাডিজ ও ইউনেসকোর যৌথ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ সাংবাদিকদের বিভক্তি। এছাড়া দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠা, অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার দুর্বলতা, যোগ্য লোকের অভাব, বিচারক সংকট ইত্যাদি অন্যতম। শুধু সংগঠন থেকে নয়, পেশাগত জায়গা থেকেও একজন রিপোর্টার নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারেন বলে মত উঠে আসে আলোচনাসভায়। নিজেদের নৈতিকতা, সাহসিকতা দিয়ে ধারাবাহিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, শাবান মাহমুদ, নাসিমুন আরা মিমু।

গত বছর সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন- ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইএফজে) যে প্রতিবেদন (২৫তম) প্রকাশ করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশে গত ২৫ বছরে ২৫ সাংবাদিক খুন হয়েছেন।’ বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দুই দশকে বাংলাদেশে ৩৮ সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তারা হলেন- দৈনিক বীর দর্পনের সম্পাদক মীর ইলিয়াস হোসেন, দৈনিক অনির্বাণের প্রতিনিধি নহর আলী, দৈনিক জনকন্ঠ বিশেষ প্রতিনিধি শামছুর রহমান, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি আহসান আলী, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের রিপোর্টার হারুনুর রশিদ খোকন, দৈনিক খোলা চিঠির সহকারী সম্পাদক সৈয়দ ফারুক আহমেদ, দৈনিক অনির্বাণের সাংবাদিক শুকুর হোসেন, বিবিসি এবং দৈনিক নিউ এইজ’র প্রতিনিধি মানিক সাহা, দৈনিক জন্মভূমির সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালু, দুর্জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী, দি নিউ এজের সাংবাদিক আব্দুল লতিফ পাপ্পু, দৈনিক আজকের কাগজ এবং ইউএনবির প্রতিনিধি কামাল হোসেন, দৈনিক সংগ্রামের খুলনা ব্যুরো চিফ শেখ বেলাল উদ্দিন, দৈনিক কুমিল্লা মুক্তকণ্ঠের সম্পাদক মুহাম্মদ গোলাম মাহফুজ, দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রতিনিধি গৌতম দাস, এনটিভির রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন, এনটিভির আতিকুল ইসলাম আতিক, মুক্তমনের প্রতিবেদক নুরুল ইসলাম ওরফে রানা, সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাহী সম্পাদক এমএম আহসান হাবিব বারী, দৈনিক ইনকিলাবের সংবাদদাতা ও রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল হাসান আসিফ, এটিএন বাংলার সিনিয়র ক্যামেরাম্যান শফিকুল ইসলাম টুটুল, সাপ্তাহিক ২০০০-এর প্রতিনিধি ফতেহ ওসমানী, বরিশালের মুলাদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন, দৈনিক জনতার সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রী রহিমা খানম, আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সাংবাদিক মাহবুব টুটুল, সাপ্তাহিক বজ্রকণ্ঠের সাংবাদিক আলতাফ হোসেন, দৈনিক ভোরের ডাকের প্রতিনিধি ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু, সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি, দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন, দৈনিক বিবিয়ানার প্রতিবেদক জুনেদ আহমদ জুনেদ, দৈনিক নরসিংদীর বাণীর প্রতিবেদক তালহাদ আহমেদ কাবিদ, সাপ্তাহিক মূলস্রোত পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ, বিটিভির ক্যামেরাম্যান শহিদুল ইসলাম, প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমদ, সাপ্তাহিক অপরাধ দমন পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক দুর্জয় চৌধুরী দীপু ও সাংবাদিক সদরুল আলম নিপুন।

এসব হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশ ঘটনারই বিচার হয়নি খুনিদের। কোনোটির হত্যাকারীকে এখনো খুঁজেই পাননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। আমাদের সময়

পাঠকের মতামত

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজতে হবে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ...